গত ২৯-০২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আশেকপুর, টাঙ্গাইল হইতে অটোরিক্সা যোগে বাড়ী আসার পথে দেলদুয়ার থানাধীন নরুন্দা সাকিনস্থ পাকা রাস্তার উপর অজ্ঞাত নামা ০৮/১০ জন ব্যক্তিরা অটোরিক্সার গতি রোধ করে উক্ত অটোরিক্সা হইতে পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক সরদার শামসুল আলমকে নামাইয়া একই উদ্দেশ্যে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে ফেলিয়া রাখিয়া চলিয়া যায়। পরবতী তাহাকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০১-০৩-২০২০ খ্রিঃ তারিখ রাত্রী অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় মৃত্যু বরণ করেন।
ডিসিস্ট এর স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে গত ০২-০৩-২০২০ খ্রিঃ তারিখে দেলদুয়ার থানায় আসিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই সংক্রান্তে দেলদুয়ার থানার মামলা নং-০৩ তাং ০২-০৩-২০২০ ইং ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে দেলদুয়ার থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করেন। টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম অত্র খুন মামলার ঘটনাটি লৌমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা হওয়ায় এই হত্যাকান্ডের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি ডিবি তে স্থানান্তর করেন এবং সার্বক্ষণিক নিজে মামলাটি তদন্তের বিষয়ে মনিটরিং করেন। জনাব শ্যামল কুমার দত্ত পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, ডিবি (দক্ষিণ), টাঙ্গাইল এর নের্তৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/কমল সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং গভীরভাবে তদন্ত করিয়া ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত আসামী ০১। মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া (৩৫), পিতা- মৃতঃ আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম এবং ০২। মোঃ হায়দার খান @ মধু (২৮), পিতা- মৃতঃ মহব্বত খান, উভয় সাং- নগরজালফৈ, থানা- টাঙ্গাইল সদর, জেলা-টাঙ্গাইলদ্বয়কে টাঙ্গাইল শহর এলাকা হইতে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় জানায় পল্লী বিদ্যুতের কাজের জের ধরে স্থানীয় একজন ঠিকাদারের সহিত শামছুল আলমের কিছুদিন যাবত বিরোধ চলিতেছিল। পরবর্তীতে ঘটনার দিন উক্ত ঠিকাদার তাহার এলাকার পরিচিত ০৩ জন ছেলে, দেলদুয়ার থানা এলাকার একজন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় নিয়ে সর্বমোট ০৭ জন ঘটনাস্থলে নিরিবিল জায়গায় অবস্থান করে। শামছুল আলম অটোযোগে আসার পথে আসামীরা ঘটনাস্থলে শামছুল আলমকে অটো থেকে নামাইয়া আসামীদের হাতে থাকা স্টীলের পাইপ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারপিঠ করিলে শামছুল আলম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়িয়া যায়। শামছুল আলম মারা গেছে মনে করিয়া আসামীরা সবাই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলিয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ১০-০৫-২০২০ খ্রিঃ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে উক্ত আসামীদ্বয় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবান্দবন্দি প্রদান করায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদ্বয়ের প্রদত্ত জবানবন্দি ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন এবং জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরবর্তীতে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় ডিবি (দক্ষিণ), টাঙ্গাইল এর অক্লান্ত পরিশ্রমে উক্ত হত্যা মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।