গত ২৪-০১-২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭:০০ ঘটিকার সময় টাঙ্গাইল সদর থানাধীন সন্তোষ (বাগবাড়ী) সাকিনস্থ যক্ষা হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তা সংলগ্ন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএ পুকুরে ডিসিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী সামছুল হক (৫৫) এর লাশ পাওয়া যায়। এই সংক্রান্তে টাঙ্গাইল সদর থানার মামলা নং-৩৫, তারিখ-২৫-০১-২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
উক্ত হত্যা মামলার ঘটনাটি লোমহর্ষক এবং চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার, জনাব সরকার মোহাম্মদ কায়সার মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য অফিসার ইনচার্জ টাঙ্গাইল সদর থানা এবং ডিবি (দক্ষিন), টাঙ্গাইলকে নির্দেশ প্রদান করেন। জনাব মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), টাঙ্গাইল এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ টাঙ্গাইল সদর থানা এবং ডিবি (দক্ষিন), টাঙ্গাইল যৌথভাবে হত্যা মামলার রহস্য উঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ি এবং এসআই/ প্রকাশ চন্দ্র সরকার ডিবি (দক্ষিন), টাঙ্গাইল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদের একটি চৌকস টিম নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তির অবস্থান সনাক্ত পূর্বক আসামী মোঃ ইয়াছিন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ বুদ্দু মিয়া, মাতা-মোছাঃ নারগিছ বেগম, গ্রাম-গদুরগাতী (পোঃ পোড়াবাড়ী), থানা-টাঙ্গাইল সদর, জেলা- টাঙ্গাইল সন্তোষ বাগবাড়ী এলাকা হতে ০৫/০৩/২০২২ খ্রিঃ তারিখে অনুমানিক ১৮:৩০ ঘঠিকায় গ্রেফতার করা হয়। তার হেফাজত হতে অত্র মামলার ডিসিস্ট সামছুল হক (৫৫) এর ব্যবহৃত একটি নীল কালো রংয়ের SAMSUNG মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। আসামীকে পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেন।