উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টার, টাঙ্গাইলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য, যৌতুক সমস্যা, পারিবারিক কলহ ইত্যাদি ছোটখাট সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাব্য নিষ্পত্তির লক্ষে দুইজন নারী এসআই ও ০৩ জন নারী কনস্টেবল এর সমন্বয়ে গঠিত। স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনের কোন সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে সেবা প্রত্যাশি ভিকটিম থানায় হাজির হলে থানায় মামলা রুজুর পূর্বে তাকে/তাদেরকে উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। অভিযোগকারী ভিকটিম উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে আসার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই ভিকটিমকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলে। উক্ত অভিযোগটি মাননীয় পুলিশ সুপার নিজে স্বাক্ষর করে উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করেন। সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগটি আসার পর অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তকে হাজির হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করা হয়। উভয়পক্ষ আসার পর তাদের এবং তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। উভয় পক্ষ সম্মতি থাকলে বিষয়টি এখানেই নিষ্পত্তি হয়। নতুবা অভিযোগকারীকে থানায় গিয়ে নিয়মিত মামলা/আদালতের স্মরাণাপন্ন হওয়ায়র জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ
০১. অভিযোগকারী প্রথমে এসে দাম্পত্য কলহ/যৌতুক সংক্রান্ত/অন্যান্য বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে মাননীয় পুলিশ সুপারের বরাবর। পুলিশ সুপার উক্ত অভিযোগটি উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করেন।
০২.উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টার প্রাপ্ত হওয়ার পর সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ অভিযোগটি পর্যালোচনা করিয়া বাদি বিবাদীর ঠিকানা সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে ধার্য তারিখে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
০৩. বাদি বিবাদী উপস্থিত হইলে বাদির পারিবারিক অভিযোগটি মনযোগ সহকাররে শ্রবণ করিয়া অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়ের শালিসদারদের সাথে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়।
০৪. বাদি বিবাদী খুব সহজেই হয়রানী না হয়ে বা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ না হয়ে এখান থেকে সেবা পেয়ে থাকেন।
০৫. উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারে আগতদের কোন দালালের মাধ্যমে আসার প্রয়োজন হয় না। অভিযোগকারীরা সরাসরি আসিয়া তাদের অভিযোগ মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট দাখিল করতে পারেন।
০৬. এখানে ধনী, গরীব, সুবিধা বঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধিদের পারিবারিক বিষয়গুলি ব্যাপারে সেবা দিয়ে থাকে।